নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই গত ১৫ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে চালু করা হয়েছে রহিম স্টীল মিল। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা লক ডাউন করা হলোও লক ডাউন উপেক্ষা করেই রহিম স্টীল মিলস তাদের উৎপাদন কাজ শুরু করেছে। এতে করোনা ঝুঁকিতে পড়েছে ওই কারখানায় কর্মরত প্রায় আড়াইহাজার শ্রমিক।
রহিম স্টীল মিলের শ্রমিকরা জানান, ১৫ এপ্রিল ফোন করে শ্রমিকদেরকে কারখানায় আনা হয় কাজে যোগ দেয়ার জন্য। এর আগে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে কারখানাটি বন্ধ ছিল। কারখানায় শ্রমিকদেরকে কাজে যোগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ চাপ প্রয়োগ করলেও তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। কারখানায় শ্রমিকদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও স্যানিটাইজারের কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এ কারখানায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকরা এখানে এসে এক সাথে কাজ করছে এতে বাড়ছে করোনার আতংক। নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলো থেকেও এখানে শ্রমিকরা আসছেন ফলে শ্রমিকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলাকে ইতিমধ্যে করোনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করা হয়েছে। বর্তমানে এ কারখানায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করছেন এক সাথে এত শ্রমিক এক সাথে জড়ো হওয়ার কারণে আমাদের করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া এখানে দুই শিফটে কাজ করানো হচ্ছে সকাল ৮টা থেকে প্রথম শিফট ও রাত ৮টা থেকে দ্বিতীয় শিফট। ফলে রাস্তা দিয়ে কারখানায় আসা যাওয়া করাটাও ঝুঁকি। কারণ সন্ধ্যা ৬টার পর রাস্তায় বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাঁধা দিচ্ছে এমকি জরিমানাও করছে।
এ ব্যাপারে রহিম স্টীল মিলস এর চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান জানান, শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেয়ার জন্যই মূলত তাদেরকে কারখানায় ডাকা হচ্ছে তবে আমাদের তৈরি রড ও একটি ক্যামিকেলের চাহিদা থাকায় সেই প্লান্ট গুলোতে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। করোনার নিয়ম মেনেই এখানে শ্রমিকরা কাজ করছে। লক ডাউনের মধ্যে কেন এ প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান করোনার জন্য তো শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি।